পর্ব-১:
গ্রামের ছেলে জয়নাল।সাদাসিধে, প্রকৃতি প্রেমী।পড়ায় ততটা মনযোগী না থাকলেও দুস্টুমিতে ফাস্ট।শরীর স্বাস্থ্যও বেশি ভাল না বেশি। খেলাধুলাই সারাদিন ব্যস্ত থাকে কিন্তু কোন কাজের খেলায় নয়।নালায় পাইপলাইন লাগিয়ে পানি ছাড়া তার প্রিয় খেলা। সারাদিন এই খেলা খেলে সে না ফুটবল না ক্রিকেট। পানি দিয়ে খেলা কি আজব ছেলে সে। শুধু পানিঢালা বাদেও তার আরো একটি ট্যালেন্ট আছে সেটা হল বাড়িতে যত ইলেকট্রিক পন্য যেমন, লাইট, টর্চ লাইট ইত্যাদি দিয়ে সে খেলত।এগুলো খুলে দেখার কৌতূহল তার এমন বেশি ছিল যে তার নতুন ব্যাটারি চালিত গাড়িও সে খুলে দেখত।এই ছিল জয়নালের ছোট বেলার কথা। যখন সে হাইস্কুলে উঠলো তখন পানি আর পাইপলাইন দিয়ে খেলা বাদ গেল। কিন্তু কারিগরি বাদ গেল না। আরো নতুন আইটেম যুক্ত হল এখন সে ব্যাটারি আর ছোট বাতি কিনে লাইট বানাতে পাড়ে, তার কি আনন্দ এ যেন কোন বিজ্ঞানীর আবিষ্কার সফল হওয়ার আনন্দ। সে এগুলো করতেই থাকে।হাইস্কুলেও সে মটর ও প্লাস্টিক বক্স দিয়ে খেলনার স্পিড বোড বানিয়ে আনন্দ উপভোগ করলেও তার বন্ধুরা এগুলো কে নিছক শিশুসুলভ আচরণই মনে করে। কিন্তু জয়নালের ধারনা সে একদিন মস্ত বড় বিজ্ঞানী হবে।কিন্তু জয়নাল ছিল একটু কিপ্টে টাইপের যদিওবা সে জানে সে একজন মিতব্যয়ী ব্যাক্তি।জয়নালের বন্ধু জামাল,ক্রিকেট এবং ফুটবল খেলায় এলাকার সেরা।জয়নাল ও জামাল একই সাথে পড়াশোনা করে। জয়নাল ছাত্রাবাসে থাকে জামাল বাড়িতেই থাকে। জামালের বাড়ির সাথে ছাত্রাবাস থাকায় জামাল বেশিভাগ ছাত্রাবাসেই পড়ত। কোন এক অবাক করা কারনে ছাত্রাবাস বন্ধ হয়ে গেলে খাওয়া নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে জয়নাল। কারন জয়নালের বাসা ছিল দূরে যেখান থেকে প্রতিদিন আসা যাওয়া করে পড়াশুনো করা সম্ভব নয়। আবার জয়নালের পরিবার আর্থিকভাবে দূর্বল থাকায় তাকে অন্য স্কুলেও ভর্তি করা সম্ভব ছিল না। জয়নালের পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এমতাবস্থায় এগিয়ে আসে তার বন্ধু জামাল। জয়নাল কে তার বাড়িতে খাওয়ার পরামর্শ (প্রস্তাব)জানায়।খুশি ও কৃতজ্ঞতায় জয়নালের চোখ কান জলমল করে উঠলো। কিন্তু প্রকাশ করতে পারলো না জয়নাল।এই কৃতজ্ঞতা থাকবে আজীবন। এই ঋণ আজীবনের।এস এস সি পরিক্ষার পর পরিবারের কাছে চলে আসে জয়নাল। পরিবারের আর্থিক অবস্থা দেখে জয়নালের পড়ার তীব্র ইচ্ছা চলে যায়। সে চিন্তা করে সে কাজ করে পরিবারকে সহযোগীতা করবে। কিন্তু সে কোন কাজে দক্ষ না হওয়ায় কোন কাজ পেল না। জয়নালের বাবা জয়নাল কে কাজ করতে দিবে না। জয়নাল কে পড়াবে। মধ্যবিত্ত(দরিদ্র) বাবাগুলি বড্ড জেদি হয় তারা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে। কিন্তু পরিবারের কারোর কষ্ট সইতে পারে।বাবার কথায়...
(চলবে)
..(চলবে)https://bit.ly/2XzAmHY
গ্রামের ছেলে জয়নাল।সাদাসিধে, প্রকৃতি প্রেমী।পড়ায় ততটা মনযোগী না থাকলেও দুস্টুমিতে ফাস্ট।শরীর স্বাস্থ্যও বেশি ভাল না বেশি। খেলাধুলাই সারাদিন ব্যস্ত থাকে কিন্তু কোন কাজের খেলায় নয়।নালায় পাইপলাইন লাগিয়ে পানি ছাড়া তার প্রিয় খেলা। সারাদিন এই খেলা খেলে সে না ফুটবল না ক্রিকেট। পানি দিয়ে খেলা কি আজব ছেলে সে। শুধু পানিঢালা বাদেও তার আরো একটি ট্যালেন্ট আছে সেটা হল বাড়িতে যত ইলেকট্রিক পন্য যেমন, লাইট, টর্চ লাইট ইত্যাদি দিয়ে সে খেলত।এগুলো খুলে দেখার কৌতূহল তার এমন বেশি ছিল যে তার নতুন ব্যাটারি চালিত গাড়িও সে খুলে দেখত।এই ছিল জয়নালের ছোট বেলার কথা। যখন সে হাইস্কুলে উঠলো তখন পানি আর পাইপলাইন দিয়ে খেলা বাদ গেল। কিন্তু কারিগরি বাদ গেল না। আরো নতুন আইটেম যুক্ত হল এখন সে ব্যাটারি আর ছোট বাতি কিনে লাইট বানাতে পাড়ে, তার কি আনন্দ এ যেন কোন বিজ্ঞানীর আবিষ্কার সফল হওয়ার আনন্দ। সে এগুলো করতেই থাকে।হাইস্কুলেও সে মটর ও প্লাস্টিক বক্স দিয়ে খেলনার স্পিড বোড বানিয়ে আনন্দ উপভোগ করলেও তার বন্ধুরা এগুলো কে নিছক শিশুসুলভ আচরণই মনে করে। কিন্তু জয়নালের ধারনা সে একদিন মস্ত বড় বিজ্ঞানী হবে।কিন্তু জয়নাল ছিল একটু কিপ্টে টাইপের যদিওবা সে জানে সে একজন মিতব্যয়ী ব্যাক্তি।জয়নালের বন্ধু জামাল,ক্রিকেট এবং ফুটবল খেলায় এলাকার সেরা।জয়নাল ও জামাল একই সাথে পড়াশোনা করে। জয়নাল ছাত্রাবাসে থাকে জামাল বাড়িতেই থাকে। জামালের বাড়ির সাথে ছাত্রাবাস থাকায় জামাল বেশিভাগ ছাত্রাবাসেই পড়ত। কোন এক অবাক করা কারনে ছাত্রাবাস বন্ধ হয়ে গেলে খাওয়া নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে জয়নাল। কারন জয়নালের বাসা ছিল দূরে যেখান থেকে প্রতিদিন আসা যাওয়া করে পড়াশুনো করা সম্ভব নয়। আবার জয়নালের পরিবার আর্থিকভাবে দূর্বল থাকায় তাকে অন্য স্কুলেও ভর্তি করা সম্ভব ছিল না। জয়নালের পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এমতাবস্থায় এগিয়ে আসে তার বন্ধু জামাল। জয়নাল কে তার বাড়িতে খাওয়ার পরামর্শ (প্রস্তাব)জানায়।খুশি ও কৃতজ্ঞতায় জয়নালের চোখ কান জলমল করে উঠলো। কিন্তু প্রকাশ করতে পারলো না জয়নাল।এই কৃতজ্ঞতা থাকবে আজীবন। এই ঋণ আজীবনের।এস এস সি পরিক্ষার পর পরিবারের কাছে চলে আসে জয়নাল। পরিবারের আর্থিক অবস্থা দেখে জয়নালের পড়ার তীব্র ইচ্ছা চলে যায়। সে চিন্তা করে সে কাজ করে পরিবারকে সহযোগীতা করবে। কিন্তু সে কোন কাজে দক্ষ না হওয়ায় কোন কাজ পেল না। জয়নালের বাবা জয়নাল কে কাজ করতে দিবে না। জয়নাল কে পড়াবে। মধ্যবিত্ত(দরিদ্র) বাবাগুলি বড্ড জেদি হয় তারা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে। কিন্তু পরিবারের কারোর কষ্ট সইতে পারে।বাবার কথায়...
(চলবে)
..(চলবে)https://bit.ly/2XzAmHY

2 Comments
nice story
ReplyDeletethanks
Delete